আপনি কি জীবনে সফল হতে চান? এই লেখাটি হয়তো আপনার জীবন পাল্টে দিতে পারে |
জীবনে আমরা সবাই সফল হতে চাই অথচ সফলতার সহজ পথ আমাদের সামনে কেউই দেখিয়ে দেয় না; এখানে ২টা সত্য লুকিয়ে আছে (১) সফলতার কোন শর্টকাট ও সহজ উপায় নেই এবং (২) সফলতার পথ দেখিয়ে দিতে অন্যের বোয়েই গেছে!
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিজ্ঞানী প্রয়াত এপিজে আবদুল কালাম বলেছেন “নিজেকে সফল করতে হলে স্বপ্ন দেখা শিখুন”।
কতো মহামূল্যবান একটা বাণী তাইনা??
আসলে এটা এপিজে আবদুল কালাম বলেনি, এটা আমিই বানিয়ে বললাম!!
কি ভাবছেন….লেখার শুরুতেই একটা ধপ দিলাম তাইনা?
আসলে আমি ধপ দিইনি, একটা শিক্ষা দিলাম আর সেটা হলো “আপনি সফল হওয়ার আগে যাই করুন, যেটাই বলুন সেটাই বাস্তবতার বিচারে ভ্যলুলেস কিন্তু সফল হওয়ার পর আপনি একটা কাশি দিলেও লোকেরা সেটা কারিশমা হিসেবে গ্রহন করবে”
সফলতা মানেই কি ধনী হওয়া?
আদতে পৃথিবী জুড়ে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা ব্যক্তি জীবনে সফল হলেও তারা ধনী ছিলেন না, তারা জগৎবিখ্যাত মহৎ মনুষ বটে কেননা তারা চাইলেই ধনী হতে পারতেন যেমনত মাওলানা ভাসানী। আবার জ্যাক মা এর মতোন মানুষেরা এতোটাই ধনী হওয়ার জন্যই তাদের সফলতা আকাশ চুম্বী হয়েছে; সাকিব আল হাসান এর মতোন ট্যালেন্টেড ক্রিকেটারেরা তাদের ট্যালেন্ট এর জোড়েই আজ এতোটা ধনী এবং বিলাসবহুল জীবন যাপন করতে পারেন।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে আপনি সফল হলে টাকা’ই আপনার পিছে ছুটবে নয়তো আপনি যদি টাকার পিছে সারা জীবন ছুটেন তবে আপনার জীবন ষোল আনাই মিছে।
কিভাবে সফল হবো?
আপনার নিজের ভেতরে কি আছে? আপনি হয়তো নিজেকে অকর্মা মনে করেন অথচ আল্লাহ তাআলা সবার ভেতরেই কোন না কোন একটা বিশেষ ট্যালেন্ট দিয়েই সৃষ্টি করেছেন সুতরাং সবার আগে সেটা এক্সপ্লোর করুন।
কি ভেবে পেলেন কিছু….. আসলে হুট করেই হয়তো এমনি নিজের ট্যালেন্ট খুজে পাবেন না। তাহলে ভাবুন আপনার কি করতে ভালো লাগে এবং কোন কাজে আগ্রহ আছে?? ক্রিকেট খেলতে নাকি ফুটবল খেলতে? হ্যাকিং শিখতে মন চাই নাকি ওয়েব ডেভেলপার হতে চান? বিজন্যেস করতে ইচ্ছে হয় নাকি বসে বসে গল্প লিখতে মন চায়??
আপনার মন যেটাই চায় সোটাই আপনার এইম হিসেবে সিলেক্ট করুন।
পিতা মাতা যখন পয়তালি করেন?
আপনি হ্যাকিং শিখতে চান তাইবলে যে এখনি আম্মা আব্বা আপনাকে একটা কম্পিউটার কিনে দিবে এমনটা আবদার করবেন না। আপনি গল্প লিখতে ভালোবাসেন বলেই যে পড়াশোনা বাদ দিয়ে সারাদিন কাব্যিক-গদ্যখোড় লেখক হবেন এমনটা নয়।
পিতা মাতা সেটা কখনোই মেনে নিবে না বরং এমনটা জেদ করলে স্বপ্নের শব তারাই সাজিয়ে দগদগে আগুনে পুড়িয়ে মিটিয়ে দিবে।
সুতরাং আপাতত পিতা মাতা যেভাবে বলে সেভাবে পড়াশোনা করুন আর আপনার স্বপ্নটা পুষে রাখুন; পোষ মানলেই তাকে খাচা থেকে ছেড়ে দিবেন আপনার মনের আকাশে।
অর্থাৎ পিতা মাতার কথা শুনে পড়াশোনা ঠিক রেখে আপনার এইমের দিকে ধীর পায়ে এগিয়ে যান…একবারে লাফ দিয়ে আকাশ ছুইতে গেলে হসপিটালের বেড নিশ্চিত!
আর বাবা মা যদি চাই ইঞ্জিনিয়ার বানাবে আপনাকে আর আপনি চান ক্রিকেটার হতে তবুও আপাতত তাদের ইচ্ছার ওপর লম্ফ ঝম্প করবেন না, চুপচাপ তাদের কথা শুনতে থাকুন….স্ট্রাইকিং মোডে যেতে পাওয়ার প্লে পর্যন্ত অপেক্ষা করুন যতোক্ষন না আপনার ভেতরে পাওয়ার পয়দা হচ্ছে!
কসম করুন…কেরামতি করবেন:
আমাদের মন আসলে নিয়ত পরিবর্তন হয়,আজ আপনার মন চাইছে মার্ক জুকারবার্গ হতে তো কাল আপনার মনে হবে আপনি হুমায়ন আহম্মদ হলেই বোধহয় লাইফটা শাইন করতেন।
ডাক্তারি পড়ছেন অথচ মনে হতে পারে আপনি বোধহয় ভালো বিজন্যেসম্যান হতে পারতেন। এমন বাহারী মনের বিলাসী চিন্তা বাদ দিন; ফোকাস কখনো বিক্ষিপ্ত হয়না। আপনার নিজের এইমের প্রতি অটল থাকুন, এইমটাই আপনাকে এমনিতেই সফলতা উপহার দিবে।
পেটে ভাত দিবে কে?
আপনি হয়তো মনে করতে পারেন যে ক্রিকেট খেলবো বলেই তো আর সাকিব হতে পারবো না তাহলে ক্যারিয়ার গড়ার মাঝ বয়সে খাবার দিবে কে? হ্যাকিং শিখে তো আর পেটে ভাত যোগার করা যায়না? ওয়েবসাইট ডিফেস দিলে কি কেউ প্লেটে ডাল ভাত এনে দিবে নাকি….যত্তোসব আজাইরা!
আপনি কি এখন না খেয়ে আছেন? মনে রাখুন আর বিশ্বাস করুন আপনার জন্য আল্লাহ তাআলা আপনার সৃষ্টির পূর্বে যতোটুকু রিযিক রেখেছেন সেটা আপনার নিকট হতে ছিনিয়ে নেবার কেউ নেই তাতে প্রফেশন কোন ম্যাটারই না!
আপনি হয়তো সাকিব আল হাসান হতে পারবেন না তবে এলাকার জনপ্রিয় একাডেমিক ক্লাব পরিচালক তো হতে পারবেন, হ্যাকিং শিখে আপনি হয়তো বেনদালভেজ হতে পারবেন না তবে বিশ্ব কাপনো সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট তো হতে পারবেন।
এইমের চেয়ে টার্গেট বড় রাখুন:
ধরুন আপনি ১০ মাইল পথ হাটবেন এটাই আপমার এইম তাহলে আপনার টার্গেট ফিক্স করুন ২০ মাইল, তাহলে নিশ্চিত আপনি ১০ মাইল পৌছাতে পারবেন, নতুবা ১০ মাইল পৌছানোর আগেই আপনি ক্লান্ত হয়ে স্টামিনা হারিয়ে ফেলবেন।
আইছে একটা নতুন মোটিভেশনাল আতেল!!
লেখার মাঝপথে নিজের পরিচয়টা দিই নতুবা মোটিভেশন তো মোটকা হোৎকা মানুষও দিতে পারেন, আজকাল মানুষেরা হুজুগে হুজুরের বয়ান শুনে তাই মোটিভেশন স্পিস দেবার আগে নিজেকে জাস্টিফাই করার সুযোগ দেওয়া উচিত।
আমি আমার কর্মক্ষেত্রে আলহামদুলিল্লাহ সফল (কি কাজ সেটা নাইবা জানেন তবে সেটা হালাল এবং সম্মানজনক সেটা জেনে রাখুন) এবং আপনার প্রতিমাসে আর্নিং ৩০,০০০ টাকা ( যেহেতু ইনকাম লেভেল আজ জাতে উঠার লেবেল) এবং সবচেয়ে বড়কথা আমি আমার ড্রিম প্রফেশনেই আছি; এবার কি আমাকে সফল বলতে পারবেন?
সে যাই বলুন আর যাই ভাবুন…. আমি সেল্ফ স্যাটিসফেকটেড ; আর আমি আপনাকে মোটেই মোটিভেট করছি বরং সফলতার রাস্তা দেখাচ্ছি মাত্র; সো লেটস গোয়িং টু কিপ লেসন এগেইন…..
ফ্রি খোজা বন্ধ করুন
আমরা সবাই ফ্রি এর পূজারী; ৬০ টাকাতে একটা চকবারের সাথে একটা লেমনজুস ফ্রি পেলে সেটা কেনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়িমরি অথচ ভুলে যায় একটা চকবারের দাম এখন মাত্র পচিশ টাকা।
ফ্রি ইন্টারনেটের নাম শুনলেই আমরা লাফাই অথচ এমন সস্তা মানসিকতায় আপনাকে সিম্পলের ভেতর গর্জিয়াস মার্কা বলদ বানিয়ে দেয়। যদি কেউ বলে যে তোমার ফ্রি সময়ে ওমুক সাইট/এপ্সে এড দেখো তাহলে দিনশেষ ১০ টাকা রিচার্জ পাবা, আর এই খুশীতে আপনি সারাদিন নষ্ট করেন তবে আপনি আসলেই একটা ইউসলেস মাল(সরি টু সে) কারন লাইফে সবচেয়ে মূল্যবান বস্তু এই “সময়” সেটাকে কাজে লাগিয়েই সফল হতে হয়।
বন্দে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে!
এই বন্দে জিনিসটাই আসল বদমাইশ। শুনুন আমি আপনাকে এটা উপদেশ দিবো না যে রিলেশনশীপ বা প্রেম পিরিতি করবেন না; কেননা তাহলে আপনি যেমন আমার কথা শুনবেন না তেমনি ভালোলাগা/ ভালোবাসা হলো সহজাত স্বাভাবিক প্রবৃত্তি তাই এটা হতে নিবৃত্ত করার প্রয়াস আমার নেই।
তবে আমি এডাভাইস করবো অতিরিক্ত ইমোশনাল হয়ে যাবেন না, ইগো রাখবেন না আর সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট আপনার এইমের সাথে এইসব ইগো আর ইমোশন মেশাবেন না।
বিরহ আর বিচ্ছেদ, ভালোলাগা কি ভালোবাসা সবটা মনের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখুন আর আপনার এম্বিশনটাকে মাথাতে রাখুন, ভালোবাসা মাথাতে উঠিয়ে পেইন নিবেন না কেননা ভালোবাসার জায়গা বুকের বা-পাশে মানায় আর এম্বিশনের জায়গা মাথার নিউরনে।
তাজমাহল বানানোর আগে নিজেকে শাহজাহানের মতোন সম্রাট তৈরী করুন।
কে কি বললো তাতে থোরাই কেয়ার!
আপনি নিজের স্বপ্ন নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে থাকলে পাশের মানুষেরা নানা নিন্দা কথা বলবে, আপনাকে সেসব নিন্দা পিছে ফেলে সামনে অগ্রসর হতে হবে।
যেমন আপনি হ্যাকিং শিখছেন এটা জানার পর বন্ধুমহল উৎসাহ দেবার পরিবর্তে ব্যঙ্গ করে বলতে পারে “আরে দোস্ত পারলে এই ব্যাংক টা হ্যাক কইরা দেখা তো” কিংবা পাশের প্রতিবেশী ইর্ষান্বিত হয়ে বলতে পারে “ইস….পোলায় কিরিকেট খেলে, ছাবিক আল হাছান হবে” এসব নিন্দা কথাতে মোটেই ডিসকারেজ হবেন না।
মনে রাখবেন আপনি যদি ব্যতিক্রম কিছু করতে চান তবে পাশের নিন্দুকেরা নিন্দা গাইবে এটাই স্বাভাবিক, আপনি ডান কানে ঢুকিয়ে বাম কান দিয়ে বের করে দিবেন।
আবার খুবই যদি বিরক্তি জাগে কিংবা অসহ্য লাগে তবে না হয় মনে মনে “সভ্য ভাষায় একটা গালগালি” করে আবার আপনার নিজের কাজে কনসানট্রেট করুন; যাই করুন তাই করুন ফোকাস যেন না ফসকায়।
নিষ্ঠা এবং ধৈর্য্য রাখতে শিখুন:
আমরা সাধারণত একবার কোন কাজে ব্যর্থ হলেই হাল ছেড়ে দিই, এটাই আসল সমস্যা। মনে রাখবেন জীবন একটা রেস, থেমে গেলেন তো হেরে গেলেন। আপনি ততোক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান যতোক্ষন না সফলতা আসে; তাহলেই আপনার নিষ্ঠা আর ধৈর্য্য ধরার সফলতা আসবে।
আপনি জোন এইচে ঘুরে এসে দেখুন হাজার হাজার মিরর সাইট পাবেন অথচ তার পেছনে এক একটা ওয়েবসাইট হ্যাক করে ডিফেস দিতে হয়তো কোন এক হ্যাকারের মাসের পর মাস পিসির সামনে বসল ভার্নাবিলিটি খুজতে খুজতে সময় কেটেছে, ক্যান ইউ ইমাজিন?
একটা সময় ওয়াপাকে এই আমি একটা ফিশিং সাইট তৈরী করতে ১৭ টি ওয়াপসাইট নষ্ট করেছিলাম,আর এখন আমি ব্লগার দিয়েও ফেসবুক ফিশিং সাইট তৈরী করতে পারি; এর পেছনের সফলতার সূত্র ঐ শুধুই নিষ্ঠা এবং ধৈর্য্য।
চিনির অভাব গুড়ে পূরণ করুন
এই পৃথিবীর সবচেয়ে করুণ সত্য হলো আপনি নিজে যে স্বপ্ন দেখেন সেটা বাস্তবে রূপান্তরিত করার সাধ্য আপনার নেই; এটা চিরন্তনী সত্য।
আবার প্রকৃতির এক আশ্চর্য করুণা হলো “আপনার স্বপ্ন পূরণের পথে প্রকৃতি আপনা আপনি আপনাকে সহায়তা করবে” আপনাকে শুধু এগিয়ে যেতে হবে, দ্যাটস অল!!
হয়তো আপনি ক্রিকেট খেলেন কিন্তু আপনার নিজের একটি ব্যাট কেনার সামর্থ্য নেই, আপনি আপনার বন্ধু বা পড়া মহল্লার এমন একটা মানুষকে নিশ্চিত পেয়ে যাবেন যার কাছ থেকে ব্যাট ধার করতে পারেন, হয়তো বিভিন্ন সময় আপনাকে কটু কথা শুনতে হতে পারে কিন্তু আপনি ছ্যাছড়ার মতোন আপনার স্বপ্নের পিছে লেগে থাকুন….সফলতা আবার আসবি না!!!
হয়তো হ্যাকিং শিখতে আপনার কম্পিউটার নেই, তাতে কি আপনি এনড্রোয়েডেই শেখার শুরু করে দিন; এমন অনেক ইমুলেটর বা ভার্চুয়াল মেশিন পাবেন যা আপনাকে পিসির স্বাদ কিছুটা হলেও দিতে সক্ষম, হয়তো এটা দেখে অনেকে আপনাকে ছোটলোক ভাববে তবে “ছোট হতেই বড় হতে হয়” এটা মাথাতে গেথে নিন।
আমি নাম বলতে চাইনা(যাতে সে বিব্রত হউক) তবে আমার প্রতিবেশী এবং বাল্যবন্ধু এমন একটা ছেলে আজ বিভাগীয় ক্রিকেট টিমে খেলে যে আমার ব্যাট ধার করে প্র্যাকটিস সেশনে যেত।
উল্লেখ্য আমি কখনোই ভালো ক্রিকেটার ছিলাম না, কাঠের বলে তো দূরে থাক টেপটেনিসেও নয়!!
নিজের হাতেই নিজের ব্যাংক:
আপনার প্রতিদিন হাত খরচ হতে দশ টাকা করে জমান; আরে ইয়ার…. আমার পকেট খরচই তো দশ টাকার কম, তাহলে আপনি অন্তত দুই টাকা করে হলেও জমান। তাতে এমন নয় যে আপনি অনেক টাকার মালিক হয়ে যাবেন কিন্তু মেন্টালিটির ভেতর মিতব্যয়ীতা মথার ভেতর ফিউচার প্লানিং ম্যাচিউরিটি চলে আসবে।
এছাড়া জামানো টাকা দিয়ে আপনার স্বপ্নের ক্ষুদ্রতর অংশ হলেও সেটি পূরনের কাজে একটু হলেও এগিয়ে যেতে পারবেন।
আমি একদিন অনেক বড় হবো!!!
আপনি একদিন ইয়া বড় একটা তালগাছ হবেন…..জীবনে সফল হতে হলে এই “একদিন” শব্দটা বাদ দিতে শিখুন। স্বপ্ন পূরণে আপনি আজ কতোটুকু কাজ করছেন সেটাই আসল কথা, কাল মহাভারত শুদ্ধ করে ফেলবেন এমন মাস্টার প্লানের কোন দাম নেই। স্বপ্ন দেখে বসে থাকবেন না, তাহলে ঐ স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবেনা….স্বপ্ন দেখে এখনই স্বপ্ন পূরণের কাজে লেগে পড়ুন; সময়মতো লাইফের ট্রেইন না ধরতে পারলে সেটি আপনাকে স্টেশনে রেখেই পগারপার হয়ে যাবে!
জগত জুড়ে সবাই স্বার্থপর
পৃথিবীতে নিঃস্বার্থ বলে কিছু হয়না তাই লাইফে কখনো ফ্রি ফ্রি কিছু খুজতে যাবেন না, তাহকে আলতা বলে আলকাতরা মেখে জাত যাবে নিশ্চিত। মনে রাখবেন “পৃথিবীর প্রত্যেকটা সম্পর্ক স্বার্থের ওপর দাড়িয়ে আছে, স্বার্থ পূরন করতে পারলে আপনাকে বুকে জড়াবে নয়তো ধাক্কা দিয়ে দূরে সরাবে” সুতরাং কারো কিছু পেতে হলে তাকে কিছু দিতে হয়।
তাহলে হয়তো বলতে পারেন আমি এত্তো বড় একটা লেখা কষ্ট করে লিখছেন আমার লাভ কি?
কারন এটা পড়ে আপনি হয়তো তাতে লাইফে সফলতা পেতে পারেন আর তাতেই আমি ফিলিংস পাবো সো দ্যাট আই হ্যাভ স্টিল টাইপিং ইয়েট!
আমার স্বার্থটাকে সুস্বার্থ বলতে পারেন তবে নিঃস্বার্থ নয় মোটেই, সুতরাং লাইফে সফল হতে হলে আপনারও লাইফকে সফলতার ইকুয়েপমেন্টগুলা সাপ্লাই দিতে হবে নইল ফিডব্যাক পাবেন না।
টাটকা টোটকা:
সফলতা পেতে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি নিজের লাইফে ফলোআপ করবেন [অন্তত করার চেষ্টা করুন]:
(১) গোমড়া মুখে থাকবেন না
(২) হাসি মুখে থাকুন
(৩) রাগ কমানোর চেষ্টা করুন
(৪) হিংসা আর ঘৃণা দুটোই কমানোর চেষ্টা করুন
(৫) ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠুন
(৬) ভবিষ্যত নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করবেন না
(৭) অশালীনতা পরিহার করবেন
(৮) ধর্মীয় বিশ্বাস অটুট রাখুন
(৯) মাথা উচু করে বাচবেন
(১০) উদার হউন
(১১) কৃপণতা করবেন না
(১২) অপচয় করবেন না
(১৩) সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কাউকে ভয় পাবেন না
লেখার হাদিয়া:
গ্রাম অঞ্চলে আমরা সাধারণত দেখি যে একটা তাবিজ লিখলে হাদিয়া হিসেবে কেউ বাড়ির বড় মোরগ বা বড় চাল কুমড়া দেয়, শহুরের দিকে তদবীরে মিলে টাকা ; তো আমার লেখাটিও তো এক প্রকার সাইকোলজিকাল তাবিজ তাহলে আমার হাদিয়া কি দিবেন??
মূলত আপনি যদি লেখাটি পড়ে লেখার বিষয়বস্তু যদি নূন্যতম হলেও আপনার জীবনে প্রয়োগ করেন তাহলেই লেখার স্বার্থকতা আর সেটিই আমার হাদিয়া!
শেষকথা:
এতোকথা বলেছি যে কিবোর্ডে লিখতে লিখতেও ঠোট শুকিয়ে গিয়েছে তাই শেষে এটাই বলি “ভালো থাকুন আর ভালো রাখুন আপনার প্রিয়জনদের”।
শুভকামনা আর ভালোবাসা রইলো
আল্লাহ হাফেজ ❤
No comments:
Give us your valuable feedback about this post
Post a Comment