অনেক দিন পর আবারো শুরু করলাম লিখালিখি (নিজ দায়িত্বে ব্যাক-আপ করে নিয়েন। হারাই গেলে কান্নাকাটি করে লাভ নাই। আমার নোটগুলাই এমন। হাওয়াই মিঠাই।
আসি সরাসরি মুল বিষয়ে। মিরর(Mirror) একটি ইংরেজি শব্দ যার অর্থ হল আয়না। এখন হ্যাকিং এ আবার আয়না দিয়ে কি কাজ? কাজ আছে। মিরর শব্দটা এর সাথে জড়িত। একজন হ্যাকার চাইবেই যে তার হ্যাক করার একটা রেকর্ড থাকুক। না হলে কেউ জানবে কি করে যে সাইট হ্যাক হয়েছিল বা হ্যাকাররা হ্যাক করেছিল কিনা! এই কারনে সাইট হ্যাক করার পর সেটার রেকর্ড রাখার কিছু সাইট আছে। এর মধ্যে জোন এইচ প্রথম সাইট যা ২০০২ সালে চালু করা হয় এবং এখনো চলছে এবং Biggest Database সেইভ করে রাখা সাইট। আমার পোষ্ট লিখা পর্যন্ত এখন জোন এইচে 12,713,897 টি সাইট হ্যাক বা ডিফেস করে সেইভ করে রাখা আছে (এছাড়াও আরো অনেক সাইট এখনো এপ্রোভ করা নয় এমন ভাবে আছে) সাইট হ্যাক করার পর হ্যাক করা URL টি জোন এইচে সাবমিট করা যায় একটি নোটিফায়ার নেম হিসেবে। সেই নোটিফায়ারের আর্কাইভে সেটা সেভ হয়ে থাকে। এবং যে কেউ চাইলে সে আর্কাইভে গেলে তা দেখতে পাবেন। যেমন আমাদের আর্কাইভ দেখার জন্য http://www.zone-h.org/archive/notifier=Team_CC তে যেতে হবে যেখানে গেলে আপনি আমাদের হ্যাক / ডিফেসকৃত সাইটসমূহের লিস্ট দেখতে পাবেন। “Legend” অংশ পড়ে নিলে দেখতে পাবেন যে হোম পেজ ডিফেস করা হলে H, মাস ডিফেস (আরেক দিন লিখবো) হলে M, ১ বছর বা তার আগে সেইম ডোমেইন জোন এইচে হ্যাক করা হিসেবে সেইভ থাকলে R লিখা দেখাবে। আর M লিখা না থাকলে সেটা সিঙ্গেল আইপি এর ডোমেইন, মানে সেই ডোমেইনের জন্য Dedicated DNS(ডোমেইন নেইম সার্ভার, অন্য দিন লিখব এই ব্যাপারে) সেট করা আছে। http://www.zone-h.org/stats/notifier তে গেলে বর্তমানে জোন এইচে থাকা সকল হ্যাকারদের এবং হ্যাকিং টিমগুলোর র্যাঙ্ক দেখতে পাওয়া যাবে তবে সাইটে আপনার একাউন্ট থাকা লাগবে। অন্যথায় দেখা যাবে না। বাংলাদেশি হ্যাকারদের মধ্যে মাত্র ৩ টি টিম(TeaM_CC, BD GREY HAT HACKERS, Cyb3r_Sw0rd) এবং ১ জন লিজেন্ড(TIGER-M@TE) র্যাঙ্কে আছে (সেরা ৫০ এর ভেতর সারা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এ)। আরেকটি টিম খুব শীগ্রয়ই আসছে র্যাঙ্কিং এ। তারা হল 3xp1r3 cyber army এই সাইটে কে কতটি সিঙ্গেল আইপি এর ডোমেইন ডিফেস(হ্যাক এবং ডিফেস করা এক জিনিস না, কেন? হ্যাক করা তখনি বলা যায় যদি একটি সিস্টেম এর unauthorized access পেয়ে যাওয়া যায়) করেছে(ডিফেস করা হল একটি সাইটের মুল লিখা বদলে হ্যাকারের মেসেজ ঝুলিয়ে দেওয়া। জোন এইচে ডিফেস পেজের ছবি আপলোড করেও মিরর নেওয়া যায় এবং তারা এটাকে ডিফেসিং হিসেবে গণ্য করে থাকে)। তো, এই ছিল মিরর কি জিনিস। ধন্যবাদ সবাইকে।
source http://b4byb0y.com/tech-hacking/3405/
No comments:
Give us your valuable feedback about this post
Post a Comment